একেই বলে কাম ব্যাক করা। ভারতীয় জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের ক্ষেত্রে এই কথাটাই এখন প্রাসঙ্গিক।প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট হিসেবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Championship) এবার সোনা জিতলেন ত্রিপুরার এই মেয়ে দীপা কর্মকার(Dipa Karmakar)। তাসখন্তে আয়োজিত চ্যাম্পিয়নশিপে দীপা ভল্ট ফাইনালে মোট ১৩.৫৬৬ স্কোর করেন। তিনি হারিয়ে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে।
20১৬ সালে অলিম্পিক্সে চতুর্থ হওয়ার পরবর্তী সময়টা অনেক চড়াই উৎরাই রাস্তা পেরোতে হয়েছে তাঁকে।চোট-আঘাত, নির্বাসনের ধাক্কায় সব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেও পারেননি। তবুও হাল ছাড়েননি দীপা। জয়ের পর এক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এই পদক আমার জেদের ফল’
বাঙালি জিমন্যাস্ট আরও বলেন, “দু’বার এসিএলের অস্ত্রোপচারের পর আমাকে ভল্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব সাবধানে পদক্ষেপ করতে হয়। আমি এখানে প্রথমে সুকুরা 720 ডিগ্রি ভল্টটা দিয়েছি। ওটা ব্যাকের পার্টে ছিল। আর ফ্রন্টের জন্য বেছে নিয়েছিলাম হ্যান্ডস্প্রিং স্ট্রেটবডি সামারসল্ট 360 ডিগ্রি।”
কিন্তু, এশিয়ান চ্যাম্পিয়ানশিপে সোনা জিতেও প্যারিসে অলিম্পিক্সে না যেতে পারায় আক্ষেপ তাঁর গলায়। তিনি বলেছেন, “আমি নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম। যাতে অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করা যায়।৫০ স্কোর করতে হত, আমি ৪৬ মতো করেছি। ফলে লক্ষ্যপূরণ হল না। এই আক্ষেপটা রয়ে যাবে। আসলে আমাকে এবার যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে একটু সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে’।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)