শেষ হয়েছে ২০২৪ এর লোকসভা ভোট। আর তাতেই একেবারে ইন্দ্রপতন হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের। বর্ধমান-দুর্গাপুরের মানুষ দিলীপকে ছেড়ে অবশেষে বেছে নিলেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদকে। এরপরই শুক্রবার দুপুরে আচমকা বিধানসভায় দেখা মিলল দিলীপ ঘোষের। বিধানসভায় আসলেও, বিজেপির পরিষদীয় দলের ঘরে কিংবা বিরোধী দলনেতার ঘরে যেতে দেখা গেল না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। সোজা গিয়ে বসলেন বিধানসভার রিপোর্টার রুমে। বিধানসভায় এসে এদিন দুপুরে বেশ কিছুটা সময় কাটালেন দিলীপ ঘোষ।
বাংলার বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়কও বটে। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে খড়্গপুর সদর থেকে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। পরে উনিশের লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন। মেদিনীপুরের জেতা আসন ছেড়ে, দলীয় সিদ্ধান্তে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা থেকে ভোটে লড়তে হয়েছিল তাঁকে। এবারের ভোটে পরাস্ত হওয়ার পর থেকেই দিলীপ ঘোষের বিভিন্ন মন্তব্যকে বঙ্গ বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
আসন বদলে আপত্তি জানালেও, তা ঢোপে টেকে নি। শুধু তাই নয়, ভোটে হারতেই দিলীপ ঘোষের গলায় শোনা গিয়েছিল ‘কাঠিবাজির’ তত্ত্ব। এই সামগ্রিক পরিস্থিতি কি দলের ভাবমূর্তির উপর প্রভাব ফেলতে পারে? এই নিয়ে প্রশ্নে নাম না করে পাল্টা দিলীপ ঘোষের দিকেই বল ঠেললেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। তিনি বলেন, ‘হেরে যাওয়ার পর অনেকেই অনেক কিছু বলেন। তাতে আমি কিছু মনে করি না। জো জিতা ওহি সিকান্দার। কে কীভাবে জিতল, কে কেন জিতল না, কে কাঠি করল… ওসব কথাবার্তার কোনও মূল্য নেই। পাবলিককে গরম করে কোনও লাভ নেই। আপনাকে মানুষ ভোট দেয়নি, এটা মেনে নিতে হবে। এটা মেনেই আগামীতে সংগঠনের দিকে মন দিতে হবে।’