হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিকে গুরু পূর্ণিমা(Guru Purnima ) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যমতে, এদিন আদিগুরু ঋষি বেদব্যাসের জন্মবার্ষিকীর দিন হিসেবেও পালিত হয়। প্রাচীন ভারতের হিন্দু ঐতিহ্যে মহর্ষি বেদব্যাসের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এদিন বেদব্যাসকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করার জন্যই বিশেষভাবে এই দিনটি পালন করা শুরু হয়েছিল।
অন্যদিকে, বৌদ্ধদের জন্যও গুরু পূর্ণিমা(Guru Purnima ) বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এদিন বুদ্ধজ্ঞান লাভের পর সারনাথে প্রথম ধর্মোপদেশ প্রদান করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। যা ধর্মচক্র প্রবর্তন নামেও পরিচিত
হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে গুরু পূর্ণিমা তিথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত, নেপাল ও ভুটানে এই গুরু পূর্ণিমা বিশেষভাবে পালিত হয়ে থাকে।
গুরু পূর্ণিমার দিনে বিশেষ আচার মেনে গুরু ও ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। তাতে পুণ্য, মোক্ষলাভ হতে পারে। কর্মজীবনেও উন্নতি দেখা দিতে পারে। গুরু পূর্ণিমার দিন গীতা পাঠের পর কিছুক্ষণ গরুদের সেবা করুন
এবছর ২০ জুলাই থেকেই পড়ে যাচ্ছে এই আষাঢ় পূর্ণিমার তিথি। তিথি সমাপ্ত হবে ২১ জুলাই। এই পূর্ণিমা দেশের বহু প্রান্তে আষাঢ় পূর্ণিমা হিসাবেও খ্যাত। ২০ জুলাই ভারতীয় সময় অনুসারে ভোর ৫ টা ৫৯ মিনিটে থেকে শুরু আষাঢ় পূর্ণিমার তিথি, শেষ ২১ জুলাই সন্ধ্যা ৩ টে ৪৬ মিনিটে। এই দিনে স্নান, দান ও ধ্যান সম্পন্ন করার শুভ সময় রয়েছে।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)