এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে(Rain) বিপর্যস্ত পুণে(Pune)। সেখানাকার জনজীবন বিপন্ন হয়ে গিয়েছে।একাধিক জায়গায় হাঁটু বা কোমর সমান জল জমে গিয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ার খবরও মিলেছে একাধিক জায়গা থেকে। আগামী দুই দিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
শুধু পুণে নয়, মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুম্বই এবং কোলাপুর শহরও জলের একেবারে তলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে পুণেতে। এদিকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে মুম্বইতে। দ্বিতীয় সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের জুলাই দেখছে বাণিজ্যনগরী। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ১৫০ সিএম বৃষ্টি হয়েছে।
দুর্যোগের জেরে পুণেতে সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত। সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। পুণে সংলগ্ন মুথা নদীর জলস্তর বিপজ্জনক পর্যায় পৌঁছেছে। নদীর উপর বাবা ভিডে সেতু পুরোপুরি জলের তলায় চলে গিয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জল ঢুকেছে বহু স্কুল ভবনে। বেশ কিছু আবাসনের ভিতরেও জল ঢুকে গিয়েছে। অনেক বাড়িঘরে জল থৈ থৈ করছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, মুথা নদীর ধারে তাঁরা খাবারের দোকান চালাতেন। নদীতে জল বাড়ছে দেখে তাঁরা দোকানের জিনিসপত্র অন্যত্র সরাচ্ছিলেন। সেই সময়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের।
জলমগ্ন মুম্বই, পুণে এবং থানেতে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সারানো হচ্ছে। অন্ধেরি-সহ বহু জায়গাতেই ভূগর্ভস্থ পথ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেখানে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও মুম্বই এবং শহরতলিতে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X Twitter, Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)