‘বড়লোকের বেটি লো লম্বা লম্বা চুল’ এই গান গেয়েই দেশের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন ভাদু গানের শিল্পী রতন কাহার। তার পরেও তার আর্থিক শঙ্কট কাটেনি। তাই এখনও আগের মতোই পথে-প্রান্তরে গান গেয়ে যেটুকু যা রোজগার করেন, তা দিয়েই সংসার চালাতে হয়।
জীবন থেকে উপাদান নিয়ে চিরকাল গান বেঁধেছেন রতন কাহার। গানের কথায় মিশে থাকে গ্রামের জীবন, সুরে মাটির গন্ধ।তাই গ্রামে গ্রামে ঘুরেই এবার রাজা পাটের সাফল্যের কথা শুনে তা নিয়েই গান গাইলেন তিনি। নদীয়ার করিমপুরে এক অনুষ্ঠান, ‘মেগা ফিল্ড ডে’ চলাকালীন গানে গানে চাষীদের কাছে তুলে ধরেন রাজা পাটের সাফল্যের কথা।
এই বীজ প্রস্তুতকারক সংস্থা,নুজিভীডু সীডস এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই পাট একর প্রতি অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা লাভের সুযোগ করে দিচ্ছে চাষিদের। এটা সম্ভব হয়েছে পাটের লম্বা আঁশ এবং অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে এর একর প্রতি ন্যূনতম বাড়তি ২ কুইন্টাল উৎপাদন বেশি হওয়ার ফলে। সংস্থার দাবি, রাজা এন জে ৭০০৫ পাটের একটি নতুন প্রজাতি যা ২০২০ সালে চালু হয়েছে। তার পর থেকে পাট চাষের দুনিয়া অনেকটাই বদলে গেছে। এন জে-৭০০৫ রাজা পাটের এই ভ্যারাইটি নুজিভীডু সীডস এর গবেষণা বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ মোহাম্মদ মসিউর রহমান কতৃক উদ্ভাবিত। এই চাষে খরচ অন্যান্য পাটের তুলনায় কম, সঙ্গে পাওয়া যায় উচ্চ ফলন, উচ্চতর গুণমানের তন্তু ও আগের চেয়ে বেশি লাভের সুযোগ। রাজা পাট চাষ করেছেন এমন চাষিরা জানিয়েছেন,আগের চেয়ে তাঁদের লাভের পরিমাণ বেড়েছে। তাই ভবিষ্যতেও এই বীজই চাষ করতে চান তারা। কারন অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় এই পাট দু ফুট বেশি লম্বা, অর্থাৎ বেশি ফলন, মোটা ছাল যা ফলন এবং তন্তুর গুণমান বাড়িয়েছে।একথা শুনে তা নিয়েই গান বেঁধেছেন রতন কাহার। সেই গান শুনে খুশি গ্রামের মানুষ। যাঁরা এখনও এই বীজে চাষ শুরু করেনি, এই গান শুনে তাঁরাও রাজা পাট চাষে উৎসাহ পাচ্ছেন।