টেলিগ্রামের (Telegram App) প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও পাভেল দুরভ-কে (Pavel Durov) প্যারিস বিমানবন্দরে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগে ওঠে তার প্ল্যাটফর্মটি অর্থ কেলেঙ্কারি এবং মাদক পাচারের মতো অপরাধের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।
টেলিগ্রাম অ্যাপের বিরুদ্ধে জোর করে টাকা আদায় এবং জুয়ার মতো অপরাধমূলক কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। ভারত সরকার এই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ফ্রান্সে টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভের গ্রেফতারের পরে, ভারত সরকার এই বিষয়টিতে আরও বেশি নজরদারি শুরু করে। এমনকী টেলিগ্রাম অ্যাপে UGC-NEET এর মতো বড় বড় পরীক্ষাগুলির পেপার ফাঁস হওয়ারও অভিযোগ ওঠে৷ এই সবকিছু নিয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে, আর যদি এই সব অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে টেলিগ্রাম অ্যাপটি ভারতে ব্যান হওয়ার চরম সম্ভাবনা রয়েছে।
টেলিগ্রামের বেনামী (Anonymous) বৈশিষ্ট্যগুলি পুলিশি তদন্তের জন্য উল্লেখযোগ্য ভাবে বাধা সৃষ্টি করে বলেও অভিযোগ ওঠে, অফিসার উল্লেখ করেছেন: “কেউ তাদের নম্বর লুকিয়ে রাখতে পারে এবং শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর নাম দেখাতে পারে। এটি হোয়াটসঅ্যাপে ঘটে না। এই নাম প্রকাশ না করার কারণে টেলিগ্রামে কাউকে শনাক্ত করা আমাদের পক্ষে কঠিন।”
আইন প্রয়োগকারী সূত্রের মতে তদন্তে টেলিগ্রাম থেকে সহযোগিতা নিষ্প্রভ হয়ে উঠছে। দিল্লি পুলিশ অফিসার বলেছেন, “যখনই আমরা তাদের কাছে পৌঁছাই, তারা শেষ লগইন আইপি ঠিকানা দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় যা প্রায়শই সামান্য সাহায্য করে।”
এই অ্যাপ ভারতের জন্য সত্যিই কী ক্ষতিকর? এই অ্যাপের ভবিষ্যৎ কী অন্ধকার হতে চলেছে?