এক সপ্তাহের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিক সাবির মল্লিকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে করতে হবে। না হলে শ্রম দফতর ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি, অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) এর। বুধবার কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দলের পক্ষ থেকে এক অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএসএফ চেয়ারম্যান ও বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী হরিয়ানায় গো-রক্ষা সমিতির হাতে গণপ্রহারে নিহত সাবির মল্লিকের পরিবারের প্রতি রাজ্য সরকার দায়সারা মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “এখনো পর্যন্ত হরিয়ানায় রাজ্য সরকারের কোন প্রতিনিধি পাঠানো হয়নি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তৈরি যে বোর্ড আছে, তাদেরও কোনও ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পরিবারকে একটা চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই চাকরি স্থায়ী নাকি অস্থায়ী, সেটা বলা হচ্ছে না। এটা রাজ্য সরকারকে সুষ্পষ্টভাবে বলতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজ্য সরকার কোনওধরণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সহ্য করতে পারছে না। তা না হলে গতকাল হাওড়ায় স্টুডেন্ট ফ্রন্টের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর এইরকম হিংসাত্মক আচরণ হল কেন? পুলিশ আধিকারিকদের মুখের ভাষাও ছিল অতি জঘন্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর মদতপুষ্ট বলেই পুলিশের একাংশ এইধরণের অশোভনীয়, অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।”
বিক্ষোভ সমাবেশে আইএসএফ চেয়ারম্যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুরা গণপিটুনিতে মারা যাচ্ছেন অথচ তিনি কোনও কথা বলছেন না।” এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন “কলকাতায় তিলোত্তমার নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকান্ড নিয়ে শুধু এই রাজ্য নয়, গোটা দেশ এমনকি বিদেশেও তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু রাহুল গান্ধীকে কলকাতায় এসে কোনও বিক্ষোভ সভা করতে দেখা গেল না। এমনকি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও তিনি দেখা করলেন না।”