আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে। আরজি করে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের সাংসদ(TMC MP)-এর পদ ছাড়লেন জহর সরকার(Jawhar Sircar)। এ বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)কে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আগেই সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।রাস্তায় নেমে কাঁদতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে একেবারে ইস্তফা দিলেন জহর সরকার। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, সূত্রের খবর।
এদিকে জহর সরকারের পদত্যাগ ঘোষণার পর কুণালকে ফের রাজ্যসভায় পাঠানোর দাবি সোশাল সাইটে পোস্ট টিএমসিপি নেতা সন্দীপন মিত্রের। সেই নিয়েও আবার চর্চা শুরু রাজনৈতিক মহলে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া চিঠিতে মূলত দুটি বিষয় উল্লেখ করেছেন জহর সরকার। এক, আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জন-জাগরণ, যা রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের দরবারে। এই গণ-আন্দোলন তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ।
পাশাপাশি তিনি আরও লিখেছেন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের কারণ দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দেওয়া।কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন ক্ষোভ ও অনাস্থা আমি আগে দেখিনি। আর জি কর-কাণ্ডে আপনার সক্রিয় হস্তক্ষেপ আশা করেছিলাম। এখন সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, খুবই সামান্য, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্তবিক্ষোভে রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিতে লিখেছেন জহর সরকার।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X Twitter, Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)