হিংসার আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই বাংলাদেশ! একের পর এক হিন্দুদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ভাঙচুর হচ্ছে, মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।এমনকি ঢাকার লালাবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দিরেও ভাঙচুর হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা।নানা ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। রীতিমতো প্রাণ বাজি রেখে হিন্দুরা রয়েছে সেখানে।নিরীহ মেয়েদের সম্মান নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। তাঁদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। চলছে লুঠপাটও।
যশোরে এক হিন্দু পরিবারে সব লুঠ করে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেলাই মেশিন, রান্নার চুলা, গ্যাসের সিলিন্ডার ও আলমারিতে রাখা ভাইয়ের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর ১০ ভরি সোনার গয়না লুট করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সোমবার থেকে প্রাণভয়ে গোটা পরিবার নাকি এলাকাছাড়া।শুধু একটি পরিবার নয়, হিন্দুরা যেসব এলাকায় থাকে, সেখানে আতঙ্কের ছায়া। কখন কী ঘটবে কেউ জানে না।
হিন্দুদের উপর এই হিংসাত্মক আচরণ বাংলাদেশে আজ নয়, চলে আসছে বহু বছর ধরে। জানুন সেই ইতিহাস
ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার খবর ছড়াতেই ১৯৯০ সালের অক্টোবরের শেষে ও নভেম্বরের প্রথম দিকে বাংলাদেশে বাঙালি হিন্দুদের উপর ধারাবাহিক আক্রমণ শুরু হয়েছিল। লাগাতারভাবে তা চলতে থাকে।এছাড়া এই ঘটনার সূত্র ধরে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মাত্রায় সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুদের উপর অকথ্য অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণের মত নক্কারজনক ঘটনা চালাতে থাকে মুসলিমরা। বিশেষ করে ১৯৯২ সালের পুরোটা সময় ধরে এই বীভৎসতার মাত্রা ছিল বর্ণনাতীত।ঢাকায় প্রচুর হিন্দুদের বসবাস ছিল এক সময়, সেখানে নানরকম নির্যাতনের শিকার হয় তাঁরা। আস্তে আস্তে বহু হিন্দু বাস্তু ছাড়া হয়।পাশাপাশি চট্টগ্রামেও একসময় ৩০ শতাংশ হিন্দু বাস করত। সেখানেই মন্দির, হিন্দুদের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া থেকে শুরু করে মহিলাদের নির্যাতন চলত।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়া প্রায় ১১ টি শহরের হিন্দুরা সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে।যশোর, নড়াইল, গাইবন্ধা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, সিলেট সহ অনেক শহরে হিন্দুদের ভয়ঙ্কর অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। প্রায় ৩ দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলছে হিন্দুদের প্রতি অত্যাচার।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X Twitter, Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)