তন্দ্রা মুখার্জী: আগের দিনে চৈত্র-বৈশাখ মাসের উল্লেখ একসঙ্গেই করা হতো বিশেষ এক পরিচয় দিতে। বাঙালির প্রিয় কালবৈশাখীর আগমন ঘটত এই দু’মাস ধরেই। আর সেই আগমনের সঙ্গে বাঙালি রোমন্থন করতো ‘নববর্ষের পুণ্য বাসরে কালবৈশাখী আসে/হোক সে ভীষণ ভয় ভুলে যাই অদ্ভুত উল্লাসে”। অবশ্যই তার এই উত্তাল রূপের সঙ্গে মিশে থাকতো, কিছু ক্ষয়ক্ষতি। তবে শহরে সেসব খুব একটা ঘটতো না। আর গ্রামের মানুষরা চিরকালই প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হতে স্বচ্ছন্দ। তাই তারা এসবে খুব একটা বিমর্ষ না হলেও, একটি বিষয়ে শহর-গ্রাম দু’জায়গার মানুষই আন্তরিক বেদনা বোধ করত। যদি ঝড়ের প্রবল দাপটে, সদ্য আসা আমের মুকুল ঝরে যেত। না, তখন মানুষ পাইকারি হারে কার্বাইডে পাকানো আম খেতে অভ্যস্ত ছিলনা। গাছপাকা আমের স্বাদ গ্রহণেই তারা ছিল পোক্ত। এছাড়াও, গরমের বাংলায় আরও কতশত নানা স্বাদের রসালো ফলের জন্য, মানুষ অপেক্ষা করতো এবং পেয়ে আনন্দিত হতো। এসবের পরেই ছিল বাঙালির বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ ২৫শে বৈশাখ, যা অভিজাত শ্রেণীর বাঙালিদের জীবনে আজও সমান অনিন্দ্যরূপেই উপস্থিত হয়।