তন্দ্রা মুখার্জী: জীবনের চলন কখনই সমান্তরাল নয়। তাই, বেঁচে থাকার মানেও সবসময় একরকম থাকা নয়! এই বিষয়ে সবচেয়ে বড় প্রমাণ অন্তরমহলের ইতিকথা। প্রতিদিন জীবন-বাবুর সুরের বাদ্যে ছন্দ ওঠেনা সুর-তাল-লয় একসঙ্গে মিলিয়ে। কোনদিন বা একটা তার ছিঁড়ে যেতে পারে। কখনো হয়তো সুরটাই মগজ থেকে বেরিয়ে বসে থাকে। এই যে অবস্থা, এর পিছনে থাকে নানা যোগসূত্র, অনেক যোগ-ভাগ-গুন-বিয়োগের খেলা। স্বাভাবিক জীবনে এসবের নাড়াচাড়ার খুব একটা দরকার না পড়লেও, মাঝে মধ্যে কারও কারও জীবনে পড়ে যায়। তখন নিজের চিকিৎসা নিজে করতে বসলে, বদ্যিমশাইকে আগেই লাভক্ষতির খতিয়ান-খাতাটি দেখে নিতে হয়। চিকিৎসকের কাছে গেলেও তেমনটাই ঘটে থাকে সাধারণত। কারও জীবন আগে ছিল সুখেভরা উচ্ছ্বল, কারও দেখা যায়—দুখের অমানিশা পার হয়ে, নতুন সুখের জগতে পদার্পণ। এই দুটোই তো জীবনের চন্দ্র-সূর্য! এদের উদয় এবং অস্ত দিয়েই হয় জীবনের খেলা নিয়ন্ত্রণ। শুধু, সময়টা থাকেনা জীবনের মালিকের হাতে! থাকে…সুখকর্তা ও দুখহর্তার হাতে। তিনি কারও কাছে আসেন সম্পর্কের বাঁধনে বাঁধা পড়ে কারও কাছে বা ঈশ্বরের ধারণা নিয়ে। তবে নিয়ন্ত্রক কিন্তু হন সেই…বিশেষ একজনই কেউ। যে যাকে ভেবে সুখ কিংবা দুঃখকে জীবনে বরণ করতে চায়…! “যাদৃশী ভাবনা তাদৃশী সিদ্ধি”।