Kidney Health: কিডনি স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার জল খেলে কিডনির সমস্যা এড়ানো যাবে। পাশাপাশি নোনতা খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। নোনতা খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে, যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
কিডনি দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। দেহে থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করা থেকে শুরু করে মিনারেলের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে কিডনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, শরীরকে সুস্থ রাখতে গেলে কিডনিকে ভাল রাখাও জরুরি। কিডনি স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার জল খেলে কিডনির সমস্যা এড়ানো যাবে। পাশাপাশি নোনতা খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। নোনতা খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে, যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে। তবে, ৫ ধরনের ফল রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে কিডনির সমস্যা হবে না।
১) বেদানা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর বেদানা কিডনির জন্য উপকারী। এই ফল শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বেদানার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। আর ফসফরাস ও সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম। তাই বেদানা খেলে কিডনির ক্ষতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা হয় নেই। এছাড়া বেদানা খেলে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমে।
২) বেরি
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, র্যাশবেরির মতো ফলের মধ্যে ফসফরাস ও সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম। এগুলো কিডনির জন্য উপকারী। ভিটামিন সি, ম্যাগানিজ, ফোলেট, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় বেরির মধ্যে। এগুলো খেলে কিডনির স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
৩) আপেল
কিডনি দু’টোকে ভাল রাখতে রোজ আপেল খান। এই ফলের মধ্যে ফসফরাস ও সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম, তাই কিডনির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, আপেলের মধ্যে ভিটামিন সি ও ফাইবার রয়েছে।
৪) লেবুজাতীয় ফল
পাতিলেবু, কমলালেবু, মুসাম্বি লেবুর মতো ফল কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। লেবুর মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। লেবুর রস খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি এটি শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
৫) অ্যাভোকাডো
রোগের ঝুঁকি কমাতে রোজ অ্যাভোকাডো খান। অ্যাভোকাডোর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। কিডনির সমস্যা এড়াতে আপনি অ্যাভোকাডোর খেতে পারেন। অ্যাভোকাডোর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।