গুজরাতে (Gujrat) ক্রমশ বাড়ছে চাঁদিপুরা ভাইরাসে(Chandipura Virus)র প্রাদুর্ভাব। ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে যারা চাঁদিপুরা ভাইরাসের (Chandipura Virus) দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিল। । রাজ্যজুড়ে ১৩টি জেলা এই ভাইরাসের গ্রাসে। গত ৫ দিনে গুজরাটের আরাবল্লী জেলায় ৬জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আরও ১২ জনকে সন্দেহ করা হচ্ছে যারা এই চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত। নমুনা ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এই রোগটি ছোঁয়াচে নয় বলেই জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, সাবরকাঁথা জেলার হিমতনগরের সিভিল হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ।
চাঁদিপুরা ভাইরাস, ওরফে Chandipura Viral Encephalitis (CHPV) হল RNA ভাইরাস Rhabdoviridae পরিবারের অন্তর্গত, যার মধ্যে জলাতঙ্ক ভাইরাসও রয়েছে।
এই ভাইরাসের নামকরণ কেন এমন হল?
এই মারণ ভাইরাস প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল ১৯৬৫ সালে মহারাষ্ট্রের চাঁদিপুরা গ্রামে। সেই থেকে এই ভাইরাসের নামকরণ করা হয় চাঁদিপুরা ভাইরাস।
ভাইরাসটি প্রাথমিকভাবে শিশুদের প্রভাবিত করে। ৯ মাস-১৪ বছরের শিশুদের প্রভাবিত করে । বিশেষত,. গ্রামীণ এলাকায় চাঁদিপুরা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে কী কী উপসর্গ দেখা যায়
জ্বর: হঠাৎ প্রচণ্ড জ্বর আসা
মাথাব্যথা: তীব্র মাথাব্যথা
বমি: ঘন ঘন বমি হতে পারে।
খিঁচুনিপরিবর্তিত মানসিক অবস্থা: বিরক্তি এবং চেতনার পরিবর্তন
কোমা: মারাত্ম সংক্রমণের কারণে কোমা এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)