ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) বিরুদ্ধে জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস (Lucknow Super Giants)। ৬ বল বাকি থাকতেই হাতে আট উইকেট নিয়ে জিতে গিয়েছে লখনউ। সৌজন্যে অধিনায়ক কে এল রাহুল (KL Rahul) ও কুইন্টন ডি’ককের (Quinton de Kock) অনবদ্য ব্যাটিং।শেষের দিকে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন নিকোলাস পুরানও।
টসে জিতে এদিন প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় লখনউ । দ্বিতীয় ওভারেই রাচিন রবীন্দ্রকে (০) বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান মোহসিন খান। চেন্নাই অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় মাত্র ১৭ রানে ফিরে গেলেন। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অজিঙ্ক রাহানে (৩৬)। এদিন অনেকটা উপরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল রবীন্দ্র জাদেজাকে (৫৭)। ব্যাট হাতে তিনিই চেন্নাইয়ের বড় রানের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন। শিবম দুবেও ব্যর্থ হলেন। তবে মইন আলি (৩০) নিজেকে প্রমাণ করে দিয়ে গেলেন। কিন্তু আসল ম্যাজিক বাকি হল তারপর। যাঁর জন্য অপেক্ষা করে বসেছিল লখনউ সমর্থকরাও। মাত্র ৯ বলে তাঁর ২৮ রানের ইনিংস দেখে চোখ সার্থক দর্শকদের। মারলেন ৩টে চার, ২টো ছক্কা হাঁকালেন ধোনি(MS Dhoni)। চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ড পৌঁছল ১৭৬ রানে।
শুক্রবার চেন্নাইয়ের বোলাররা সেভাবে কিছুই করতে পারলেন না। দীপক চাহার, তুষার দেশপাণ্ডে, মুস্তাফিজুররা না পারলেন উইকেট তুলতে, না রানের গতি আটকাতে। লখনউয়ের দুই ওপেনার কেএল রাহুল আর ডি ককের সামনে কোনও ভাবেই দাঁড়াতে পারলেন না তাঁরা। তাঁদের প্রথম উইকেট পড়ল ১৩৪ রানে। ততক্ষণে ম্যাচ প্রায় হাতের বাইরে চলে গিয়েছে চেন্নাইয়ের। ডি কক ৫৪ রানে ফিরে গেলেও রাহুলকে ফেরানো প্রায় অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। পাথিরানার বলে যখন ব্যক্তিগত ৮২ বলে ফিরছেন লখনউ অধিনায়ক, তখন জিততে বাকি আর মাত্র ১৬ রান। বাকি কাজটা শেষ করলেন পুরান আর স্টয়নিস।৮ উইকেটে ম্যাচ জিতল লখনউ ।
তবে একটা কথা না বললেই নেই, লখনউ-এর স্টেডিয়াম দেখে মনে হচ্ছিল যেন চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়াম। গোটা মাঠ জুড়ে শুধুই হলুদ পতাকা আর জার্সি। কারণ একটাই, মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। তাঁকে নিয়েই তো যত উন্মাদনা। ম্যাচটা যে লখনউ বনাম চেন্নাই, সেটাই ভুলে যেতে হয়। মাহিও কাউকে ফেরালেন না। ৯ বলে অপরাজিত ২৮ রান তুলে বুঝিয়ে দিলেন ‘ফিনিশার’ এখনও ‘ফিনিশ’ হয়ে যাননি। যদিও রাহুল (KL Rahul) আর ডি ককের চওড়া ব্যাটে হার মানতে হল চেন্নাইকে।বিফলে গেল ধোনি ধামাকা।
উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে লখনউ শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল কয়েকটি অদ্ভুত হোর্ডিং। যেখানে লেখা ছিল, “আমরা চাই, ধোনি ভালো খেলুক। কিন্তু এলএসজি যেন ম্যাচ জিতে চায়।” মাহির সেই মার আর লখনউয়ের জয় একসঙ্গে ডাবল ইচ্ছাপূরণ লখনউবাসীদের।