হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট(Iran President) ইব্রাহিম রাইসি(Ebrahim Raisi)। রাইসি এমন একজন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে দেখা হত রাইসিকে।ইসলামী প্রজাতন্ত্রের স্তম্ভ হিসাবে খামেনি এবং বিপ্লবী নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির পরে তৃতীয় সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার একমাত্র যোগ্য হিসাবে ভাবা হত রাইসিকে। রাইসির মৃত্যু ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের কট্টরপন্থী প্রতিষ্ঠার ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের অর্থনীতি আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার কারণে ধরাশায়ী হয়ে আছে, তার মধ্যে এবার পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও অনেকটাই বেসামাল হয়ে পড়ল ইরান, কারণ রাইসি এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতেন। সব মিলিয়ে রাইসির প্রয়াণে দেশে এবং বিদেশে এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ইরান।
ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ ইরানি প্রেসিডেন্টের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছে, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। কিন্তু ইরানের মানুষের এই ঘটনার পর যে প্রতিক্রিয়া ধরা পড়েছে, তা একেবারে উল্টো কথা বলে! কোনও শোক নয়, বরং ইরানের বহু নাগরিক এবং প্রবাসী ইরানিদের এই দুর্ঘটনা নিয়ে ঠাট্টা-মস্করা করতে দেখা গিয়েছে।
মিম তৈরি হয়েছে এই দুর্ঘটনকে কেন্দ্র করে। ইরানে রাতের আকাশে ফাটছে আতশবাজি।
কি আশ্চর্য বিষয়! একজন জাতীয় নেতার মৃত্যুতে কেন এই উল্লাস ইরানবাসীর?
এই প্রশ্নের জবাব মিলল ইরানি-মার্কিন সাংবাদিকের একটা টুইটে
ইরানি-মার্কিন সাংবাদিক মাসিহ আলিনেজাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমার মতে, ইতিহাসের এটাই একমাত্র কপ্টার দুর্ঘটনা, যেখানে সবাই উদ্বিগ্ন, কেউ বেঁচে নেই তো? শুভ বিশ্ব হেলিকপ্টার দিবস!”
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)