নবান্নের পর শনিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে গিয়েছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তাররা। দুপুরে ধরনা মঞ্চে গিয়ে আলোচনায় আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে কালীঘাটে গিয়েছিলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। সেখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাটল জট।ভেস্তে গেল বৈঠক।
লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবি থেকে সরে আন্দোলনকারীরা বলেছিলেন ভিডিও রেকর্ডিং করা হোক দু-দরফের পক্ষ থেকে। তাতেও রাজি ছিল না সরকার।আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে এলেন। আমরা ভিজছিলাম। তিনি এসে বলেন, ‘ভিতরে এসো, বৈঠক না করো, চা খেয়ে যাও।’ ভিডিয়ো আমরা করে দেব সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর। এই ঘটনার পর আমরা আবার আলোচনা করলাম। মুখ্যমন্ত্রী এসে একটা জায়গা রাখার চেষ্টা করলেন। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলাম। তাঁর চেয়ারের প্রতি সম্মান রেখে আমরা ভিডিয়োগ্রাফি ছাড়াই মিনিটস দেওয়ার শর্তে রাজি হলাম। তিনি যখন নিজে অনুরোধ করলেন, আমরা ঠিক করলাম, আস্থা রাখি। যখন আলোচনা করে জানাতে গেলাম, তখন হঠাৎ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বললেন, আর বৈঠক সম্ভব নয়। অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আলোচনায় বসতে রাজি নই। আমাদের এত সদিচ্ছা, এতটা নামলাম, এই অচলাবস্থা যাতে কাটানো যায়, তার জন্য সব শর্ত মানলাম, তার পর বলা হল, অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর বৈঠক সম্ভব নয়।তার পর তাঁরা বেরিয়ে গেলেন।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘শনিবার যা ঘটল, আমরা আলোচনা করতে গিয়েছিলাম, শুরু থেকে বলেছিলাম আলোচনা চাই, কী দাঁড়াল! শর্তহীন আলোচনাতেও রাজি ছিলাম। হয়তো একটু দেরি হয়েছে। কিন্তু মুখ্যসচিব, মন্ত্রী বললেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনার সময় অতিবাহিত। এই হলে কীভাবে আস্থা রাখব?’