দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় ও বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানাল বিজেপি।
কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন থেকে পদত্যাগ না করেই দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন মালা রায়। ‘অফিস অব প্রফিট’ আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে মালা রায়ের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। সেই মর্মে কমিশনকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। রাজ্য বিজেপির তরফেও একই দাবি জানানো হয়েছে কমিশনকে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা দেননি। ১৪ মে, মঙ্গলবার বেলা ৩টে অবধি তা দেওয়ার সময় ছিল।সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এরপরই কমিশনে যায় বিজেপি।
এর আগে ওই কেন্দ্র থেকে সংসদ ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। সেই সময় তাঁর সরকারি বাড়ি সংক্রান্ত কিছু বকেয়া ছিল। তা ক্লিয়ার করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৮.৫.২০১৪ থেকে ৭.৫.২০২৪ পর্যন্ত সেই বকেয়া মেটানো হয়নি। সেই অভিযোগে প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি দুই তরফে জমা পড়ল কমিশনে। তাই ১৯৫১ সালের রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপল অ্যাক্টের ৩৬ (২) ধারা অনুযায়ী নুরুল ইসলামের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন নির্দল প্রার্থী মিরাজ মোল্লারও।ফর্ম নম্বর ২৬ এর আইটেম নম্বর এইটের কলমে যেখানে নো ডিউ সার্টিফিকেট সম্পর্কে তথ্য দিতে হয় সেখানে নুরুল ইসলাম নট অ্যাপলিকেবল লিখে জমা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বীরভূম কেন্দ্রে বিজেপি প্রথমে প্রার্থী করে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে। কিন্তু রাজ্য সরকারের থেকে নো ডিউজ সার্টিফিকেট নাও মিলতে পারে আশঙ্কা করে ওই আসনে দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করে রেখেছিল পদ্ম শিবির। আশঙ্কা মিলেও যায়। মনোনয়ন বাতিল হয় দেবাশিসের। এরপর দেবাশিস এবং রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব প্রথমে কলকাতা হাই কোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে যান। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত দেবতনুই বিজেপি প্রার্থী হিসাবে বীরভূমে লড়ছেন। সেই উদাহরণ টেনে হাজি নুরুলেরও মনোনয়ন বাতিল করা হোক, দাবি তুলেছে বিজেপি। দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘হাজি নুরুলের মনোনয়ন যাতে বাতিল হয়, তার জন্য কমিশনকে জানানো হয়েছে। এরপর আমরা আদালতে যাব। এই লড়াই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত চলবে’
উল্লেখ্য, বিজেপি ছাড়ও বসিরহাটের নির্দল প্রার্থী মিরাজ মোল্লারও নুরুল ইসলামের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কমিশনে।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)