পঞ্চম দফা ভোটে সুষ্ঠভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি নিয়ে কমিশনের শুক্রবার আর্জি জানালেন সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য তথা দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। পরে তাঁরা সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল ও বিজেপিকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেছেন।

Loksabha Election 2024: ‘বিজেপির হাওয়া দিল্লিতে যত কমছে , তত বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অস্থির হচ্ছেন’, বিজেপি-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ সেলিমের, মমতাকে ‘পাল্টিবাজ’ বলে কটাক্ষ সুজনের

Bengal News Politics
Share this news

মুর্শিদাবাদে ভোট রক্তপাতের পর ফের নির্বাচনের কমিশনের দ্বারস্থ বামেরা। পঞ্চম দফা ভোটে সুষ্ঠভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি নিয়ে কমিশনের কাছে শুক্রবার আর্জি জানালেন সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য তথা দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। পরে তাঁরা সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করলেন।

‘মুর্শিদাবাদে রক্তপাত হয়েছে। কোথাও বোমা, কোথাযও গুলি চলেছিল। আমরা পঞ্চম দফায় নির্বাচনের জন্য এসেছি। তৃণমূল মরিয়া হয়ে গেছে। তারা দুষ্কৃতীকে ব্যবহার করে টিকে থাকতে চাই। গণনা সঠিক ভাবে হওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা যেন করা হয় তার দাবি জানিয়েছি। পঞ্চম দফায় ব্যারাকপুর, হুগলি সহ বাকি আরও লোকসভা কেন্দ্র আছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেছেন, পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা বলেছি প্রিভেনটিভ অ্যাকশন নিতে হবে। পর্যবেক্ষকদের কেন্দ্রে থাকতে হবে। বসিরহাট কেন্দ্র হোক বা অন্য জায়গায় তারা মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। রাজ্য পুলিশের এর থেকে বেশি বদনাম হতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রীকে পাহারা দেওয়ার জন্য আর অভিষেকের বাড়ির সামনে পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশ আছে। তাহলে তাঁদের আলিপুর জেলে থাকা উচিত বা ফোর্ট উইলিয়ামে থাকা উচি।’
এছাড়াও বামেদের আর্জি, নির্বাচন কমিশনকে সঠিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে, সবাইকে প্রচারের সমান অধিকার দিতে হবে। রাজ্য প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব দুষ্ট কাজ করতে পারে না, সন্দেশখালি তার অন্যতম উদাহরণ। পৌরসভা নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে লুট করেছে, মানুষ তার জবাব ভোট বাক্স দেবে। রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ বামেদের।

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করারা দাবিও জানানো হয়েছে। সেলিম এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষের সুরে বলেন, তিনি ধন্দে আছেন কারণ তার ধন্দা বন্ধ হবে। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। ভাইপোকে কয়লা পাচারে বাঁচাতে হবে, চাকরি চুরি। এইসব থেকে বাঁচতে হবে।উনি বলেছিলেন কংগ্রেস ৪০ থেকে বেশি আসন পাবেন না। এখন তিনি বলছেন বাইরে থেকে সমর্থন করবেন। তার মানে তিনি ইন্ডিয়া জোটে নেই। এখন যদি তিনি রেলে না উঠেন তাহলে সমস্যা আর যদি উঠেন তাহলে জেলে যাবেন। ট্রেনের ছাদে গেলেও বেআইনি, আর তিনি ট্রেনের তলায় যান সেটাও চাই না। তাঁকেই ঠিক করতে হবে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান কেন এমন হল! তৃণমূলের নিজত্ব নীতি নেই, তাই এই অবস্থা হয়েছে। ইন্ডিয়া জোটে সমর্থন বাড়ছে। বিজেপির হাওয়া দিল্লিতে যত কমছে , তত বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অস্থির হচ্ছেন।দিল্লিতে চৌকিদার সরে গেলে চোরেদের ধুকপুকানি বেশি বাড়ছে’

অন্যদিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও প্রশ্ন তুললেন, ‘তিনি বলেই দিয়েছেন যে আমরা বাইরে থেকে সমর্থন করছেন। তিনি কংগ্রেস এবং সিপিআইএম সঙ্গে নেই তাহলে কী করে তিনি ইন্ডিয়া জোটে আছেন? সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশ পল্টুরাম দেখেছে, এবার পাল্টিবাজকে দেখছে’

(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর  জানতে  ফলো করুন আমাদের  X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *