সোমবাার নাম না করে বীরভূমের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, সোমবার বিস্ফোরণ হবে। তাতে বেসামাল হয়ে যাবে তৃণমূল’
মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘বিজেপির একটা কথায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি গেছে। তাদের বলছে কিনা ৮ বছরের মাইনে সুদ সহ ফেরত দাও।’
পাশপাশি তিনি আরও বলেন, ‘ভোট চলাকালীন বিজেপির এক গদ্দার বলল বোমা পাঠাব, ‘আরে আমার উপর এত রাগ তো বোমা ফাটিয়ে মেরে দে, অভিষেককেও তো খুন করতে গেছিলি, ধরে ফেলেছিলাম আমরা’। এখানেই না থেমে মমতা বলেন, ‘তার বাড়ি পর্যন্ত রেকি করেছে, ফেসটাইমে ফোন করেছিল, আপকা সাথ বাত করনা চাতি হু। দেখা করলেই গুলি করে দিত’।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজারাম নামে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ওই ব্যক্তি অভিষেকের বাসভবন রেইকি করেছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিল।
এ ব্যাপারে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, ‘একুশের ভোটে পায়ের সমস্যা ছিল। তার পর মাথায় চোট। এখন বলছে, মেরে ফেলতে চাইছে। আরে শাহজাহানের মতো সন্ত্রাসবাদীরা তো তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে। ওদের আবার মারবে কে?’
তবে কী এবার নিজে না হয়ে অভিষেকের এই ঘটনাকে হাতিয়ার করার প্রচষ্টা? একাধিক প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।