গোটা দেশের অনেকাংশেই এখনও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত। দিল্লি, রাজস্থান, গুজরাট, ছত্তিশগড় সহ বিভিন্ন রাজ্যে ৪৫ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা রয়েছে। সম্প্রতি রেমালের কারণে বাংলায় তাপমাত্রার কিছুটা হলেও কম রয়েছে, তবে হিউমিডিটির কারণে অস্বস্তিকর আবহাওয়া রয়েছে। এরই মাঝে বুধবার সুখবর দিল মৌসম ভবন। আগামী ৩১ মে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ভারতের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন।
বুধবার আইএমডি( India Meteorological Department ) জানিয়েছে, দক্ষিণ আরব সাগরের কিছু অংশ, মলদ্বীপের অবশিষ্ট অংশ, কমোরিন অঞ্চল, লাক্ষাদ্বীপ এলাকার কিছু অংশ, দক্ষিণ-পশ্চিমের আরও কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আরও অগ্রগতির জন্য পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । চারিদিকে অনুকূল পরিস্থিতির কারণে এবছর বর্ষায় বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের মূল ভূ-খণ্ডে সর্বপ্রথম কেরলেই(Kerala) বর্ষা ঢোকে। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে কেরলে আসে। ৩১ মে কেরলের একাংশে বর্ষা ঢুকে যাবে। ১-২ জনের মধ্যেই কেরলে পুরোপুরি বর্ষা প্রবেশ করবে। অন্যদিকে কেরল থেকে কর্ণাটক উপকূলে বর্ষা প্রবেশ করবে।
৬-৭ জুনের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে(Bengaluru) বর্ষা প্রবেশ করার কথা রয়েছে।
সাধারণত কেরলে বর্ষা ঢোকার ছয় থেকে দশ দিন পরই বাংলায়(West Bengal) বর্ষা ঢুকে যায়। তাই কেরলে বর্ষা ঢোকা মানেই তার কয়েকদিনের মধ্যেই এরাজ্যেও বর্ষার আগমন বার্তা পাওয়া যায়।
সম্প্রতি রেমালের কারণে বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) অনুকূল পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে বর্ষা প্রবেশের জন্য। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুকে টেনে নিয়ে আসায়, সময়ের আগেই বঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা।১০ জুনের পরই বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করবে বলে জানা গিয়েছে।
১৫ই জুন মুম্বই(Mumbai)তে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
২৫ জুনের পরে দিল্লিতে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)