সারা বিশ্ব যখন মহিলাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে লড়াই, মিটিং এবং মিছিল করছে সেই সময় বেঙ্গালুরুর তিন মহিলা মিলে সমাজকে নতুন দিশা দেখাচ্ছে। শুরুটা ছিল একটা সামান্য রান্নার চ্যানেল দিয়ে, যেখানে নানা ধরনের রান্নার পদ্ধতি ভিডিও আকারে সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তো। তারপরে সেটা বদলে গিয়েছে ক্যালকাটা ডিলাইটস (Calcutta Delights) ক্লাউড কিচেন নামে। যা কিনা এখন বেঙ্গালুরুর বাঙালিদের মুখে স্বাদে গন্ধে মিলেমিশে গিয়েছে।
প্রথমেই পরিচয় করিয়ে দেই স্নিগ্ধা মাজি, জবা মাজি, পুতুল কর্মকার। তাঁদের তিনজনের পারিবারিক পরিচয় হল মেয়ে, মা ও শাশুড়িমা, তিনজনেই রান্নায় পটু, তাই এই রান্নাকে হাতিয়ার করে শুরু হয়েছে ক্যালকাটা ডিলাইটস ক্লাউড কিচেন। বেঙ্গালুরুর বাঙ্গালিদের মায়ের হাতের রান্নার জন্য আর বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষা করতে হবে না কারণ, ক্যালকাটা ডিলাইটসের লক্ষ্যই হচ্ছে মায়ের হাতের রান্না পরিবেশন করা। যে রান্নায় মিশে থাকে মায়ের ভালোবাসা, মায়ের আদর, মায়ের স্নেহশীল হাত।
স্নিগ্ধা বলেন, “আমার দুই মা রান্না করতে ভালোবাসেন ও খাওয়াতে পছন্দ করেন, সেই কারণেই আমার মা ও শাশুড়ি মা মিলে আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ।”
আরো একটা জিনিস বলতেই হয় এই তিন মহিলার সম্পর্ক আজকের সমাজে একটা নজির। ভালোবাসার দিক দিয়ে শাশুড়ি বউয়ের কেমিস্ট্রি অল্প বিস্তার সকলেই জানে অন্যদিকে মেয়ের মা এবং মেয়ের শাশুড়ির সম্পর্ক আদায় কাচঁকলায়। তবে এখানে একটু অন্য ছবি। এঁনাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঠিক যেন গরমকালে রোদে পড়া দুপুরের পর ঠান্ডা করা কালবৈশাখীর মতন। এই হেঁসেলে আওয়াজ শুধু করে কড়াই আর খুন্তি। ফলে এই তিন মহিলার কেমিস্ট্রি সমাজকে নতুন ভাবে প্রেরণা যোগাচ্ছে বলাই যায়।
ক্যালকাটা ডিলাইটস আপাতত বেঙ্গালুরুতে ক্লাউড কিচেন এর মাধ্যমে খাবার পরিবেশন করছে গ্রাহকদের কাছে WhatsApp এবং Instagram এর মাধ্যমে তারা পৌঁছে যাচ্ছে নানা স্বাদের লোভনীয় খাবারের ডালি নিয়ে। নানা অকেশনের পাশাপাশি কর্পোরেট পার্টি, জন্মদিনের অনুষ্ঠান, অফিস লাঞ্চের জন্যেও অৰ্ডার নিয়ে তা দক্ষতার সঙ্গে পরিবেশন করছে। এছাড়াও নানা ধরনের বাঙালি খাবারের অর্ডারও তারা সম্পূর্ণ দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সার্ভ করছে। আগামী দিনে এই ছোট্ট উদ্যোগ হয়তো অনেক বড় ভৌগোলিক ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়বে। তাই বলা বাহুল্য এই ত্রিশক্তির স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে। NewsAI24x7 এর তরফে রইল শুভকামনা।