পর্যালোচনা বৈঠকেও কাটল না জট। রাজ্য সরকারের তরফে আলোচনার কোনও রকম ইঙ্গিত না মেলায় রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাজারগুলিতে বুধবার থেকে আলুর সঙ্কট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের জেরে দাম বেড়েছে(Price Hike) আলুর। সেই সঙ্গে বাজারে আলুর(Potato) জোগানে ভাঁটা দেখা দিয়েছে। ভালো মানের আলু মিলছে অনেক জায়গাতেই। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে খুচরো বাজারে যাতে আলু সরবরাহে সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে দুই মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও প্রদীপ মজুমদারকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মঘট মোকাবিলায় ডিএম-এসপিদেরও পথে নামার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলু নিয়ে সঙ্কটের পরিস্থিতির আলোচনা হয়। তার পরেই মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে এই সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হয় নবান্নে। সেখানে হিমঘর মালিকদের সংগঠনকেও ডাকা হয়েছিল।
হিমঘর মালিকরা জানান, তাঁরা ব্যবসায়ীদের আলু রাখেন হিমঘরে। আলু কেনাবেচায় যুক্ত নন। এই পরিস্থিতিতে ঠিক হয়েছে, কৃষিবিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না আলু ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাতে দাম নিয়ন্ত্রণ না হলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ আইনে হিমঘর থেকে আলু বের করে খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে।
বেচারামের কথায়, ‘হিমঘর মালিকদের বলা হয়েছে, তাঁদের নিজস্ব যে মজুত আলু রয়েছে তা রাজ্য সরকারকে ২৬ টাকা কিলো দরে বিক্রি করতে হবে। প্রতি হিমঘরে ২০% সরকারি কোটা রয়েছে। যে কোটায় চাষিরা আলু রাখেন। সেই আলু রাজ্য সরকার চাষিদের থেকে কিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিক্রি করবে।’
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X Twitter, Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)