রবিবার ভোরে পুনের (Pune) কল্যাণী নগর এলাকায় দ্রুত গতিতে আসা এক বিলাসবহুল পোর্সে (Porsche) গাড়ি এক মোটরবাইকে সজোড়ে ধাক্কা মারে। সেই বাইকে ছিলেন একজন তরুণ ও একজন তরুণী, নাম আনিস আওয়াধিয়া এবং অশ্বিনী কস্তা। দু-জনেই দুর্ঘটনায় নিহত হন। জানা গিয়েছে, নিহত দু-জনেই আইটি সেক্টরে কর্মরত। অন্যদিকে ঘাতক পোর্সে (Porsche) গাড়িটি চালাচ্ছিল এক নাবালক, তাও আবার মদ্যপ অবস্থায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালাচ্ছিল। তার গাড়ির ধাক্কায় অকালে চলে গেল দু তরুণ প্রাণ। এরকম জঘন্য অপরাধের পর ওই নাবালককে গ্রেফতার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন দিয়ে দেয় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। সেই সঙ্গে এক আশ্চর্য নির্দেশ দেয় তাকে। ইয়েরওয়াদা ট্রাফিক পুলিশের (Yerwada traffic police ) সঙ্গে ১৫ দিন কাজ করতে হবে এবং পথ দুর্ঘটনা সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ লিখতে হবে। বোর্ডের এই নির্দেশে প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ নাগরিক থেকে বুদ্ধিজীবীরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তার বহিঃপ্রকাশ করেছেন অনেকে।
পুণে পুলিশ (Pune Police) বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিল যাতে তারা অভিযুক্তকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করার অনুমতি দেয়। কিন্তু সেটা করেনি বোর্ড। যার জন্য গাড়ি দুর্ঘটনায় দুটো তাজা প্রাণ চলে গেল, তার শাস্তি যে এরকম হতে পারে , তা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নাবিস (Devendra Fadnavis)। ফড়নবিস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযুক্তর বয়স ১৭ বছর ৮ মাস হওয়ায় পুলিশ প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচারের অনুমতি চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছে উচ্চ আদালতে।
বর্তমান যুগে নতুন প্রজন্ম বয়সে নাবালক হলেও জীবন ধারণ করে সাবালকের মতো! পুণেতে এমন এক ঘটনা ঘটিয়েছে ওই নাবলক, যার শাস্তি এরকম বিচিত্র ধরণের এবং এত লঘু হতে পারে না! কিন্তু নাবালক হওয়ায় সাত খুন থুরি দুই খুন মাফ!
উল্লেখ্য, নিহত দুজন আনিস আওয়াধিয়া ও অশ্বিনী কস্তা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। সন্তানের মৃত্যুতে দিশাহারা, শোকস্তব্ধ মা-বাবা, পরিবার। অশ্বিনীর মা জানিয়েছেন, জুন মাসে অশ্বিনীর বাবার জন্মদিনে বাড়ি আসবে বলেছিল মেয়ে। দুর্ঘটনার এক দিন আগে সেকথা জানিয়েছিলেন অশ্বিনী। আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)