সপ্তাহখানেক ধরে কোটা সংস্কার আন্দোলন(Quota Protest) ঘিরে চরম পরিস্থিতি উৎপন্ন হয়েছে বাংলাদেশে(Bangladesh)। পুলিশ ও ছাত্রলীগ–যুবলীগের সংঘর্ষে একের পর এক ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা। খবর পাওয়া যাচ্ছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (Dhaka Medical College) হাসপাতালে লাশের পর লাশ পড়ছে। বহু আন্দোলনকারীর দেহ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে, যাদের দেহে ছররা গুলির ক্ষত রয়েছে। কারোর শরীরে আবার কোপের আঘাত, কারোর আবার মাথায় আঘাত। এ কী ভয়ঙ্কর চিত্র বাংলাদেশ(Bangladesh) জুড়ে! ছাত্র-যুবদের সঙ্গে এমন নৃশংসতা সত্যিই চোখে জল এনে দেয়।
আরও এক নক্কারজনক দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন ছাত্রকে প্রকাশ্যে গুলি করছে পুলিশ। সেই গুলি নির্ভয়ে বুক পেতে নিতে সটান দুই হাত তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই ছাত্র তথা আন্দোলনকারী, নাম আবু সাইদ। গুলি লাগতেই লুটিয়ে পড়লেন সকলের চোখের সামনে। না জানি এরকম কত যুবদের প্রাণহানি হয়ে চলেছে সপ্তাহখানিক ধরে। শনিবার পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গেছে, এই সংঘর্ষ-গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ২৭ জন। নিহতদের মধ্যে কলেজ পড়ুয়া ছাড়াও রয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র, রয়েছেন সাংবাদিকও । আহতের সংখ্যা প্রতি মুহুর্তে বাড়ছে, তাই হিসেব করার উপায় নেই।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, নিহত হওয়ার ঘটনা, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নিন্দা জানিয়ে আজ শুক্রবার পদযাত্রা ও মানববন্ধন করেন ঢাবির বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষকেরা।দেশের সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্যের পদত্যাগ চান তাঁরা।ঢাকা থেকে চট্টোগ্রাম, আজিমপুর থেকে রামপুরা, মাদারীপুর থেকে উত্তরা গোটা বাংলাদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। কোটা বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে প্রতিদিন জ্বলছে ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সীদের চিতা। জ্বলছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, পুড়ছে তাদের গর্ব। যে কারণেই আন্দোলন হোক, সেটা অবশ্যই বিচার-বিবেচনাসাপেক্ষ। কিন্তু তাজা তাজা প্রাণের এইভাবে বলি, দেশের ভবিষ্যৎ-এর এরকম সর্বনাশ কখনই, কোনও পরিস্থিতিতেই কাম্য নয়!
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)