চার বার বিয়ে ভেঙেছিল রতন টাটার! কারণটা জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন

National News
Share this news

রতন টাটা অবিবাহিত। মজার ব্যাপার হল, চার বার এমন হয়েছিল যে তাঁর প্রায় বিয়ে হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু নানা কারণে বিয়ে আর হয়নি!

প্রয়াত দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি রতন টাটা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। এই ১০টি তথ্য তাঁর সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। রতন টাটা ছিলেন যিনি ২০০৯ সালে ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা গাড়ি তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হল দেশের শিল্পক্ষেত্রের একটি অধ্যায়। তাঁর সম্পর্কে এমন অনেক কথা আছে যা অনেকেই জানেন না।
টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটা হলেন রতন টাটার প্রপিতামহ। ১৯৪৮ সালে মাত্র দশ বছর বয়সে তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং তারপরই তিনি তাঁর ঠাকুমা কাছে থাকতে শুরু করেন। নওয়াজবাই টাটার কাছেই তিনি বড় হয়ে ওঠেন।

রতন টাটা অবিবাহিত। মজার ব্যাপার হল, চার বার এমন হয়েছিল যে তাঁর প্রায় বিয়ে হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু নানা কারণে বিয়ে আর হয়নি। তিনি একবার বলেছিলেন যে লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময়ে তিনি প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু, ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের কারণে মেয়েটির বাবা-মা তাঁকে ভারতে পাঠানোর বিরোধিতা করেন। তারপর আর বিয়ে করেননি তিনি।

রতন টাটা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মুম্বইয়ের ক্যাম্পিয়ন স্কুলে পড়াশোনা করেন, তারপরে ক্যাথেড্রাল এবং জন কনন স্কুল এবং সিমলার বিশপ কটন স্কুল সিমলায় পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৫৫ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির রিভারডেল কান্ট্রি স্কুল থেকে ডিপ্লোমা করেন।

রতন টাটা ১৯৬১ সালে টাটা গ্রুপ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন এবং তাঁর প্রথম কাজ ছিল টাটা স্টিলের শপ ফ্লোর পরিচালনা করা। পরে তিনি পড়াশোনা শেষ করতে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে যান।

২০০৪ সালে টিসিএস প্রতিষ্ঠা করেন রতন টাটা। তাঁর নেতৃত্বে, টাটা গ্রুপ ইস্পাত প্রস্তুতকারক কোরাস, ব্রিটিশ মোটরগাড়ি সংস্থা জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার এবং ব্রিটিশ চা সংস্থা টেটলির সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা টাটা কোম্পানিকে সারা বিশ্বের নজরে নিয়ে আসে। ২০০৯ সালে তিনি ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা গাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলেন এবং ১ লক্ষ টাকা দামের যুগান্তকারী টাটা ন্যানো বাজারে নিয়ে এসেছিলেন।

২০১০ সালে, টাটা গ্রুপ হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল (এইচবিএস)-এ একটি এগজিকিউটিভ সেন্টার নির্মাণের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়, যেখানে তিনি তাঁর স্নাতক প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
২০১৪ সালে, টাটা গ্রুপ আইআইটি-বোম্বেকে ৯৫ কোটি টাকা অনুদান দেয় এবং গরিব মানুষ এবং সম্প্রদায়ের প্রয়োজনের জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তির বিকাশের উদ্যোগ নেয়। সেই উদ্দেশ্যে টাটা সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন (টিসিটিডি) গঠন করা হয়।

জামশেদজি টাটার সময় থেকেই বোম্বে হাউসে বর্ষাকালে রাস্তার কুকুরদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। সেই ঐতিহ্য অব্যাহত রেখেছেন রতন টাটা। তাঁর বোম্বে হাউসের সদর দফতরে সাম্প্রতিক সংস্কারের পরে রাস্তার কুকুরদের জন্য একটি কেনেল রয়েছে। এই কেনেলে রাস্তার কুকুরদের জন্য খাবার, জল, খেলনা দেওয়া হয়। সেখানে একটি খেলার জায়গাও রয়েছে তাদের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *