আরজি করে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপ বাড়ছে ক্রমশ। এবার নিজেই ইস্তফা দিলেন আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালের(RG Kar College hospital) প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ।স্বাস্থ্যভবনে এসে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে গেলেন। তবে সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানিয়েছেন, কোনও চাপের মুখে তিনি পদ ছাড়ছেন এমনটা নয়। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।সবাইকে কাজে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ‘একজন মেয়ের মৃত্যুর ঘটনার আমাকে দায়ী করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুকে, প্রিন্ট মিডিয়াতে আমাকে দায়ী করা হচ্ছে। নৈতিকতার দায়িত্ব থেকে একজন মানুষ হিসাবে আমি ইস্তফা দিয়েছি। একজন মেয়ের মৃত্যু বাবা হিসাবে মেনে নিতে পারলাম না।‘
সন্দীপ ঘোষ জানান, সরকারি চাকরি, প্রিন্সিপাল, প্রফেসর সব জায়গা থেকেই তিনি ইস্তফা দিলেন। তিনি আরও বলেন, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তরুণী সুইসাইড করেছে বলে তিনি পরিবারকে জানিয়েছিলেন বলে যে মন্তব্য সব জায়গায় বলা হচ্ছে, সেই কথাগুলি তাঁর মুখে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ‘আমি সরকারি চাকরি করেছি, সমস্ত নির্দেশ পালন করেছি। যখনই স্পষ্ট বক্তা হয়েছি তখনই আমাকে রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি যখন আরজি করের চার্জ নিই, আরজি কর ছিল ঘুঘুর বাসা। কোনও কোনও নেতাদের মদত ছিল। আমি ঘুষ নেওয়াও বন্ধ করেছি’,এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করলো না স্বাস্থ্য ভবন। বরং তাকে দেওয়া হল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব। সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অধ্যক্ষ চিকিৎসক অজয় রায় কে। এখনও পর্যন্ত তাকে কোন জায়গায় স্থানান্তরিত করা হলো তা নিয়ে সুনিশ্চিত কিছু জানায়নি স্বাস্থ্য ভবন। অপরদিকে আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অধ্যক্ষের দায়িত্বে আসলেন সুরিতা পাল।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X Twitter, Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)