গভীর রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) বিভিন্ন জায়গায় উড়ে এসে পড়ল বেলুন। বেলুনে বোমা থাকার আতঙ্কে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই দেশের মানুষ। কিন্তু বেলুনগুলিতে বোমা ছিল না, বেলুনের নীচে ছিল আবর্জনা। আবর্জনা ভর্তি প্যাকেট এবং লিফলেট আটকানো বেলুনের সঙ্গে। অনেকেই ভেবেছিলেন বেলুনে করে বোমা বা অন্যকিছু পাঠিয়েছে নর্থ কোরিয়া (North Korea)।কিন্তু পরে পুলিশ এসে তদন্ত করে দেখে আবর্জনা রয়েছে সেগুলিতে। গোটা ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন জায়গায়।
বুধবার বিকেলে যে খবর প্রকাশ্যে এসছে, তাতে জানা গিয়েছে, পড়শি দেশ উত্তর কোরিয়া ৯টি প্রদেশ থেকে মোট ২৬০টির বেশি বেলুন উদ্ধার করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেগুলি থেকে আবর্জনার পাশাপাশি উদ্ধার হচ্ছে বেশকিছু কাগজপত্র। কিছু বেলুনের পশুর ছবি রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার তরফে উষ্কানীমূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। তাঁদের দাবি, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন চাইছে এই দেশের শান্তি বিঘ্নিত হোক। সেই কারণে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, ১৯৫০ সালে কোরিয়ান যুদ্ধের পর দুই দেশ গ্যাস বেলুনের মাধ্যমে প্রচার করতে থাকে। মঙ্গলবার এই কাণ্ডের পর উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় দিন কয়েক আগে সীমান্তবর্তী এলাকায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কয়েকটি আবর্জনা ভর্তি বেলুন পাঠানো হয়েছিল। সেই কারণেই এদিন দক্ষিণ কোরিয়াতে বেলুন পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে আবর্জনার পাহাড়় করে দেওয়া হবে।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)