তন্দ্রা মুখার্জী: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার ক্ষেত্রে বিরাট মাপের ‘চাকরি চুরি-র ঘটনা’, আজ অনেককেই প্রাসঙ্গিক এক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে হরিয়ানা রাজ্যে। ওম প্রকাশ চৌটালা তখন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে একইরকম দুর্নীতির কারণে, বরখাস্ত করা হয়েছিল বহু শিক্ষককে। পঞ্জাব-হরিয়ানা আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা আবেদন জানান দেশের শীর্ষ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)-এ। শীর্ষ আদালত প্রথমেই রাজ্যের উচ্চ-আদালতের (High Court) রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ (stay order) জারি করে। এরপর শিক্ষকরা নতুন উদ্যমে লড়াই শুরু করেন মনে প্রবল আশা নিয়ে। একটানা বেশ কয়েক বছর এই মামলা চালাতে গিয়ে, বহু শিক্ষকের জমি-বাড়ি ও শেষ সম্বলটুকুও হাতছাড়া হয়ে যায়। অনেকে দেনার দায়ে কাহিল হয়ে পড়েন। তবু তাঁরা হাল ছাড়েননি রাজ্য প্রশাসনের এই চরম অন্যায় ও জঘন্যতম কাজের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়াতে। অনেকদিন পরে হলেও জয় তাঁদেরই হয়েছিল। যোগ্য এবং নির্দোষ শিক্ষকরা ফিরে পেয়েছিলেন তাঁদের চাকরি এবং মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর কুকর্মের সহযোগী পুত্রের হাজতবাস হয়, দশ বছরের জন্য। একইরকম ঘটনার ফলাফল দেখার জন্য, বাংলার মানুষও এখন অধীর প্রতিক্ষায় আগ্রহী হয়ে থাকবেন। আশায় থাকবেন “সব ভালো যার শেষ ভালো” বিখ্যাত প্রবাদ স্মরণ করে।