‘হীরামন্ডি’(Heeramandi) ওয়েব সিরিজের আলমজেবকে(Alamzeb) কেমন লেগেছে আপনাদের? এই মুহুর্তে যাঁরা হিরামন্ডি দেখে ফেলেছেন তাঁদের চর্চায় কিন্তু ‘মল্লিকাজান’, ‘বিব্বোজান’, ‘ফারিদানের’ পাশাপাশি ‘আলমজেবের’ নামও উঠে আসছে। কারণ এর আগে তাঁকে কোনও সিনেমা বা ওয়েব সিরিজে তো দেখা যায়নি। অথচ সঞ্জয়লীলা বনশালির(Sanjay Leela Bhansali ) মতো বড় পরিচালকের প্রথম ওয়েব সিরিজে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় তাঁকে দেখা গেল।কিন্তু কে এই ‘আলমজেব’ ওরফে শরমিন(Sharmin )?
আর কি করেই বা দেখা যাবে আগে তাঁকে? অভিনয় জগতে হীরামন্ডি দিয়েই তো অভিষেক হল শরমিনের। অভিনয় জগতে প্রবেশ করেই মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষি সিনহা, অদিতি রাওয়েরদের মতো তাবড় তাবড় অভিনেত্রীদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারও করে ফেললেন। বি-টাউনে নিজের জায়গা করতে কত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বছরের পর বছর লেগে গেছে। কিন্তু এত সহজে নবাগতা হয়ে শরমিন কীভাবে সুযোগ পেলেন এত বড় প্যাটফর্মে। নিশ্চই এ প্রশ্ন আপনার মনেও উঠছে।
যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর হাতেখড়ি অবশ্য ক্যামেরার পিছনে থেকেই। শরমিনের মামা সঞ্জয় লীলা বনশালীর ছবি ‘রাম লীলা’ এবং ‘বাজিরাও মস্তানি’-র ইউনিটে সহকারী ছিলেন শরমিন। কিন্তু মনে মনে তত দিনে জেগে উটেছে অভিনয়ের ইচ্ছে। নিজের ইচ্ছা চেপে রাখার চেষ্টা করলেও ‘বাজিরাও মস্তানি’র সেটে একেবারে ধরা পড়ে যান মামার কাছে।ব্যাস, কেল্লা ফতে। কয়েক বছরের মধ্যেই সুযোগ চলে আসল মামার প্রথম ওয়েব সিরিজ়ে। ‘আলমজ়েব’-এর চরিত্রে দেখা যায় শরমিনকে। এক লাজুক লাজুক তাকানি। মিষ্টি একটা হাসি। মনীষা কৈরালা ওরফে মল্লিকাজানের মেয়ে হয়েছেন তিনি এই সিরিজে। তবে সিরিজটি মুক্তি পেতেই ক্রমাগত সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে আলমজেব ওরফে শরমিনকে। বারবার স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠছে বনশালীর বিরুদ্ধে। পরিচালকের ভাগ্নি হওয়াতেই কি শরমিন সহজেই সুযোগ পেয়ে গেলেন?
সম্প্রতি ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-য় ‘হীরমন্ডি’-র আরও পাঁচ অভিনেত্রীর সঙ্গে আসেন শরমিন। সেখানেও এই প্রশ্ন উঠে এল শরমিনের সামনে। কপিল তাঁকে সরাসরি বলে বসেন, মামা এত বড় পরিচালক, তাই খুব সহজেই নিশ্চই সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন!
কপিলের এই মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে শরমিন বলেন, ‘‘একেবারেই না! ১৬ বার অডিশন দিতে হয়েছে, তার পর ডাক পেয়েছি। প্রায় এক বছর ধরে নিজেকে তৈরি করেছি।’’ সত্যিই তো, বিখ্যাত পরিচালক যদি মামা হন, তাঁর ভাগ্নি হওয়ার সমস্যাও কম নয়। প্রতি মুহূর্তে তুলনা, প্রমাণ করে যেতে হবে নিজের যোগ্যতা।
তবে শরমিনের এত বড় সুযোগ এত সহজে আসার নেপথ্যে স্বজনপোষণ নাকি যোগ্যতা সে নিয়ে আজকের ডেটে দাঁড়িয়ে চর্চা হওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়? কারণ বলিউডে স্বজপোষণের ঘটনা বহুবার চর্চায় এসেছে। বহু বলি তারকার মুখে শোনা গিয়েছে নেপোটিজমের শিকার হওয়ার কাহিনী। যোগ্যতা থেকেও পিছনে পড়ে থাকার কাহিনীও আছে অনেকের। গুজব হলেও সুশান্ত সিং রাজপুতের করুণ পরিণতির নেপথ্যে কি বলিউডের নেপোটিজম ছিল না সত্যি করেই? আপনারা কি ভাবছেন? শরমিনের এই সিরিজে সুযোগ পাওয়া নিয়ে আপনার কি অভিমত? যোগ্যতা নাকি স্বজনপোষণ? কমেন্ট করে জানান আমাদের। শেয়ার করুন যাতে আপনি জানতে পারেন অন্যরা কী ভাবছেন এই প্রসঙ্গে।
(বিস্তারিত খবর, সঠিক খবর, গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে ফলো করুন আমাদের X (Twitter), Facebook, YouTube, এবং Instagram পেজ)