নাম তাঁর প্রাচী নিগম, দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৫০ শতাংশ। উত্তর প্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ থেকে প্রথম স্থান অধিকারও করেছে এই মেধাবী ছাত্রী। ৬০০-র মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯১। তবে এতেও রেহাই মেলেনি মেধাবী ছাত্রী হিসেবে যত না প্রচারে পেয়েছে তার থেকে প্রচারে এসেছে তাঁর মুখে জন্মানো লোম নিয়ে।
তাঁর লুকস নিয়ে সমাজে এখন যত কাণ্ড। মূল চর্চার কেন্দ্র এই মেয়েটির মুখে বেশি পরিমাণে লোমের কারণে। নানা ধরণের প্রশ্নের অবতারণা হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতির ওপর। সমাজের একশ্রেণীর মানুষের প্রশ্ন “মহিলারা যতই এগিয়ে যান না কেন, তাঁদের সৌন্দর্য বা তাঁরা দেখতে কেমন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। কিন্তু এই প্রশ্ন কবে বন্ধ হবে?” কারও কারও আবার দাবি, “তথাকথিত সৌন্দর্য না থাকলে কি কারও গুণের কদর করা হবে না?”
আসলে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়টি হল প্রাচী নামে এই ছাত্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাঁর মেধা নিয়ে আলোচনা হওয়ার জায়গায় তাঁকে দেখতে কেমন সেই নিয়ে মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সে এসেছে। পড়ুয়াকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টার পাশাপাশি ট্রোল করতে শুরু করেছে এই ভদ্র সমাজের বাসিন্দারা। ভদ্র সমাজ ভুলে গিয়েছে তারা যদি এই মুহূর্তে নিজেদের মুখ, হাত-পা আয়নাতে দেখে তাহলে নিজেদের দেখেই ভয় পেয়ে যেতে পারে কারণ মুখের অবয়বে দুটো বড় দাঁত দেখা যেতে পারে, হাতে -পায়ে দৈত্যের দেহের সাথে সাদৃশ্য ধরা পড়তে পারে। বর্তমান সময়ে এই ঘটনা উদ্বেগের তৈরি করতে পারে!
তবে ওই ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর লোকের অভাব নেই, তাঁকে নিয়ে যখন সমাজের একাংশ ট্রোল করেছে সেই মুহূর্তেও এমন অনেক জনকে পাওয়া গিয়েছে যারা কিনা এই ট্রোলারদের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন। সেখানে সমাজের বড় ব্যক্তিত্বরাও ছিল। কেউ ডাক্তার, কেউ শিক্ষকের পাশাপাশি আরও অন্যান্য ব্যক্তিত্বরা মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছে। আসলে সমাজের এই ভালো মানুষগুলোই পারে খারাপ মনোভাব গুলোকে আটকে দিতে। তবে পড়ুয়ার মানসিক শান্তির কামনা সব সময় করা উচিত। তাঁর আগামী ভবিষ্যৎ ভালো হওয়ার কামনা করা উচিত।