১৪ এপ্রিল, রবিবার বাঙালির নববর্ষ। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরে পথ চলা শুরু। ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখ মানেই তার আগে চৈত্র সেলে কেনাকাটি। রাস্তার ফুটপাথ ধরে বিকিকিনির রমরমা। একটু সস্তায় কেনাকাটি করতে উপছে পড়া ভিড় হত হাটে,বাজারে, শপিং মলে।জামাকাপড়, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, পর্দা, জুতো কিছু বাদ যেত না । আর হুজুগে বাঙালি নববর্ষ উপলক্ষে কিছু কেনাকাটি করবে না, তা তো হতেই পারে না।
বাঙালির সেই হুজুগ সেকালেও ছিল আর একালেও আছে। কিন্তু বদলে গিয়েছে কেনাকাটির ধরণ। অনলাইন কেনাকাটির চক্করে সেই জৌলুস হারিয়েছে চৈত্র সেল। বিক্রেতাদের কাছে খুবই হতাশজনক।বিশেষ করে বর্তমান স্মার্ট প্রজন্ম গরমে ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটি করতে মোটেই ভালোবাসে না। আর সেলে যে ড্রেসটা সস্তায় মিলবে, দেখা যায় অনলাইনেও সেটি সস্তা। তাই সেলে কেনাকাটি অকারণ গরমে কষ্ট আর সময় নষ্ট বলে মনে হয় অনেকরই। তবে সেই জমজমাট চৈত্র সেল না হলেও এখনও একেবারে হারিয়ে যায়নি চৈত্র সেলে কেনার ঐতিহ্য। গড়িয়াহাট, এসপ্ল্যানেড, গড়িয়া, হাতিবাগান, শিয়ালদহ কোলে মার্কেট ঘুরলে বলতেই হবে চৈত্র সেলে কেনাকাটি বাঙালির অভ্যাস বটে।